ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারকে সতর্ক করলেন জাতিসংঘ দূত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
 রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারকে সতর্ক করলেন জাতিসংঘ দূত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারকে সতর্ক করলেন জাতিসংঘ দূত। ফাইল ছবি

ঢাকা: রাখাইনের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন বন্ধ না করলে মায়ানমার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে বলে দেশটিকে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি।

১২দিন মায়ানমার সফর শেষে শুক্রবার ইয়াঙ্গুনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এ ছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দেশটির নির্বাচিত নতুন সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তিনি।

জাতিসংঘ দূত রোহিঙ্গাদের ওপর মমায়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের তীব্র সমালোচনা করেন। গত অক্টোবরের ঘটনার পর রাখাইন রাজ্যের বুথিডং জেলে এখনও সাড়ে চারশ’ নাগরিক আটক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
 
 মায়ানমারের মিজিমা এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংকক পোস্ট এসব খবর দিয়েছে।
 
এসব প্রতিবেদনে বলা হয়,  মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি সাংবাদিকদের বলেন, মায়ানমারের সেনাবাহিনীকে অবশ্যই দেশের আইন মেনে এবং মানবাধিকার রক্ষা করে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে দেশটির নির্বাচিত নতুন সরকারকে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনভাবেই যাতে রোহিঙ্গাদের ওপর আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

রাখাইন প্রদেশের পরিস্থিতিকে অত্যন্ত দুর্বিষহ উল্লেখ করে জাতিসংঘ দূত বলেন, মায়ানমারের সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর দমন অভিযানের ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে এবং অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবতাকেও অস্বীকার করছে। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে।  

তিনি রাখাইন রাজ্যে মায়ানমারের সেনা অভিযানের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ওই অভিযানের কারণে গত তিন মাসে প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।  

রাখাইনের মংডু ও বুথিডং এলাকা পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে ইয়াংহি লি সেখানকার নারীদের সসঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্মরন করেন। তিনি বলেন  মংডুর অনেক নারী জানিয়েছেন, তাদের স্বামীদের সেনা সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছেন। তাদের সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ নেই। এমনকা তারা বেঁচে আছেন কি না তাও তাদের জানা নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২,  ২০১৭
জেপি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।