রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত উপজেলার বলাইখাঁ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে কামাল হোসেন (৩৫), আব্দুল্লাহ মিয়া (২৫), মঞ্জুর হোসেন (২৬), জামিলা বেগম (৫৫), রাসেল মিয়া (২৩), ফয়সাল মিয়া (২০), জজ মিয়া (৫৬), স্মৃতি বেগম (২৫), শাহাদুল্লাহ (৩৩), আবুল হোসেন (৬০), পথচারী ইব্রাহীম মিয়া (৪৮), আমান উল্লাহর (৪৫) নাম জানা গেছে।
তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বলাইখাঁ এলাকার কামাল হোসেনের সঙ্গে একই এলাকার শাহাদুল্লা জমি কেনা-বেচার ব্যবসা করতেন। কয়েক মাস আগে থেকে তারা আলাদাভাবে ব্যবসা শুরু করেন। আগের জমির ব্যবসার টাকা ভাগভাটোয়ার নিয়ে তাদের দু’জনের মাঝে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
ওই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে কামাল হোসেনের শালা ফয়সালের সঙ্গে শাহদুল্লার বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে শাহাদুল্লাকে চর থাপ্পর মারেন ফয়সাল।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার দুপুরে শাহাদুল্লা ও তার লোকজন বিভিন্ন অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কামাল হোসেনের বাড়িঘরে হামলা চালান। এসময় কামাল হোসেনের লোকজনও পাল্টা হামলা চালান। এসময় ৬ থেকে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ও ৩ থেকে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পথচারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়।
হামলা চলাকালীন এলাকার লোকজন ও পথচারী ভয়ে ছুটাছুটি করতে থাকেন এবং এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে কামাল হোসেন জানান, শাহাদুল্লা ও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, ককটেল বিস্ফোরণ করে।
অপরদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করে শাহাদুল্লাহ জানান, কামাল হোসেনসহ তার লোকজনই হামলা চালিয়ে তাকেসহ তার বাবা আবুল হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উভয়পক্ষের অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
আরএ