রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের শেরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে খায়রুজ্জামান হিরা বলেন, মা-বাবার মৃত্যুর পর অনেক সম্পত্তির মালিক হই।
ঘটনা জানার পর ২০০৯ সালে বগুড়া জেলা যুগ্ম জজ আদালতে একটি বন্টননামা মামলা দায়ের করি। মামলা নং ১৫২/২০০৯। মামলায় উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমান, রজিব উদ্দিন ও আব্দুল মতিনকে বিবাদী করা হয়। এই মামলায় আদালত প্রাথমিকভাবে আমার পক্ষে রায় দেন।
পরে বিবাদীরা জেলা জজ আদালতে (২৫২/১১ নম্বর) আপিল করলে আদালত তা খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে তারা হাইকোর্টে সিভিল মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় হাইকোর্ট ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এরপরও বিবাদীরা বসে নেই। ভূমিদস্যুরা স্থানীয় থানা পুলিশের আশ্রয় নিয়েছেন।
ভুক্তভোগী খায়রুজ্জামান হিরা অভিযোগ করে বলেন, অজ্ঞাত কারণে পুলিশ ভূমিদস্যু মোখলেছুর রহমানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমি ভোগদখলে পুলিশ বাধা দিচ্ছে।
হিরা বলেন, জমিতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আমাকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বারবার থানায় ডেকে তারা আমাকে হয়রানি করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জয়নাল আবেদীন, শামীম আহমেদ, ইশারত আলী, আব্দুল কাইয়ুম, ইমতিয়াজ আহমেদ নাইছ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. এরফান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, খায়রুজ্জামান হিরা নামের কোন ব্যক্তিকে আমি চিনি না। অতএব তাকে ভয় দেখানো বা তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মোখলেছুর রহমানের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত একটি অভিযোগ নিয়ে থানায় বসা হয়েছিলো। সে অভিযোগের সঙ্গে খায়রুজ্জামান হিরার কোনো সম্পর্ক নেই।
বরং হিরাই তেতুলিয়া এলাকায় অন্যের প্রায় ১৫বিঘা জমির দখল নিতে পায়তারা করছেন। বিষয়টি সমাধানকল্পে রোববার (২২জানুয়ারি) থানায় বসার কথা রয়েছে।
নিজের অপকর্ম পুলিশের ঘাড়ে চাপাতে আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা বানোয়াট ঘৃণ্য অভিযোগ তোলা হয়েছে বলেও দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এমবিএইচ/বিএস