ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব রুখে দাঁড়ানোই লিটনের অপরাধ’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
‘বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব রুখে দাঁড়ানোই লিটনের অপরাধ’ সংসদে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংসদ ভবন থেকে: বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কারণে লিটনকে জীবন দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি গাইবান্ধায় জামায়াত-বিএনপি’র বিভিন্ন সময়কার তাণ্ডব ও সন্ত্রাসী তৎপরতা তুলে ধরে বলেন- এসবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে বলে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। তাকে টার্গেট করা হয়।

এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই খুঁজে বের করবো, ধরবো এবং যথাযথ শাস্তি দেব। লিটন হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে গাইবান্ধা-১ আসনের সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, লিটন যে এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছিল সেটা ছিলো জামায়াত-শিবিরের আখড়া। ২০১৩ সালে তারা সেখানে যে তাণ্ডব চালিয়েছিল পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমণ করে ৪ জন পুলিশকে হত্যা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদে আগুন দিয়ে কর্মকর্তাদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা। আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীর ওপর আক্রমণ বাড়িঘরে হামলা। রেললাইনে ফিসপ্লেট তুলে ফেলা। এসব তাণ্ডবে ওই এলাকার কোনো মানুষ ঘরে থাকতে পারেনি।    

তিনি আরও বলেন, আবার ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচালের নামে বিএনপি-জামায়াত অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় টহল দেয়, যাতে যানবাহন চলতে না পারে। রেললাইনের ফিসপ্লেট তুলে দেয়। তুলসি ঘাটে ৯ জনকে হত্যা করে, গোবিন্দগঞ্জে ২ জন এবং সুন্দরগঞ্জে একজনকে হত্যা করা হয়। ২০১৫ সালেও একই রকম তাণ্ডব চালায়।  

এসব তাণ্ডবের বিরুদ্ধে যাতে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে, সেজন্য জনগণের সঙ্গে এক হয়ে লিটন রুখে দাঁড়িয়েছিল। এটাই লিটনের জন্য কাল। তাণ্ডবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনা এটাই যেন তার বড় অপরাধ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুকে গুলি করার অপবাদ দেওয়া হয়েছিল। লিটন শিশু সৌরভকে কেন গুলি করবে। সৌরভ তো আওয়ামী লীগ পরিবারের ছেলে। শিশু সৌরভের বাবা আওয়ামী লীগ করে তার পরিবারের সঙ্গে লিটনের সুসম্পর্ক ছিল। মূলকথা ছিল ওখানে লিটনকে মারার জন্য জামায়াত-শিবির অ্যাম্বোস করে বসেছিল। সেখানে সে ফাঁকা গুলি করে। সৌরভের গায়ে যে আঘাতটা লেগেছিল সেটা নিয়েও তো অনেক কথা অনেক সন্দেহ। বা হতে পারে ফাঁকা গুলিও গায়ে লাগতে পারে। কিন্তু পত্র-পত্রিকা এমনভাবে সেটাকে লিখল সত্য তথ্যটা কেউ তুলে ধরে নাই।

আমার কষ্ট হয় এই জন্য। এই ঘটনার পর তার অস্ত্রগুলো সিজ করে নেওয়া হল। এই যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে। আর যার ফলে ওর বাড়িতে ঘরের ভেতরে ঢুকে ওকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো।

তিনি বলেন, লিটন গাইবান্ধার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছিল। লিটন গাইবান্ধায় গোলাম আযমের সভা করতে দেয়নি, সেটাও জামায়াতের কাছে বড় অপরাধ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এসএম/এসকে/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।