ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৯ম শ্রেণির ছাত্রকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিলো প্রধান শিক্ষক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
৯ম শ্রেণির ছাত্রকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিলো প্রধান শিক্ষক

ধামরাই, ঢাকা: ঢাকার ধামরাইয়ে রোয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমজাদ হোসেন (৫০) ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র গৌর ঘোষকে (১৪) পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ধামরাই থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব দাস বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রোয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ছাত্র গৌর ঘোষ জানায়, নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় দশম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে সুপারিশের জন্য গেলে প্রধান শিক্ষক তার কোন কথায় কর্ণপাত না করে তাকে এলোপাতাড়িভাবে বেত্রাঘাত করতে থাকেন।


একপর্যায়ে তার বাম পায়ের হাটুর পেছনের হাঁড় ভেঙে যায়। এসময় তার চিৎকারে অন্যান্য ছাত্র ও শিক্ষকরা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভারের সুপার ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
 
খবর পেয়ে ধামরাই থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব দাস ফোর্স নিয়ে স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক স্কুল ছেড়ে পালিয়ে যান।

এসআই অপূর্ব দাস জানান, বেআইনিভাবে স্কুলছাত্রকে মারধর করায় শিশু আইন ২০১৩ এর ৭০ ধারায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সুপার ক্লিনিকের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. বিজয় জানান, গৌর ঘোষের বাম পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। এছাড়া তার বাম পায়ের রগও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
গৌর ঘোষের বাবা নেপাল ঘোষ বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের কাছে আমার ছেলের ভর্তির বিষয়ে বৃহস্পতিবার গিয়েছিলাম তিনি মোটা অংকের টাকা দাবি করে বলেন, যদি তোমার ছেলেকে দশম শ্রেণিতে পড়াতে চাও এবং তাকে দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়াতে চাও তবে টাকা দিতে হবে। টাকা ছাড়া কথা বলে কোন লাভ নেই। আমি সবই করতে পারি। ’ পরে উপায় না বুঝে ছেলেকে পাঠিয়েছিলাম প্রধান শিক্ষকের কাছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোনালিসা হক বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন প্রধান শিক্ষকের আচরণ এমনটা হতে পারে তা কল্পনাও করা যায় না। প্রধান শিক্ষককে তিন কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রোয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের দেখা মেলেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ০১৯২০-০৯৮৪৫৪ নম্বরে যোগাযোগ করলে নম্বরটি বন্ধ রয়েছে বলে জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ‘তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তার হুকুমেই তো সব হয়। দুই/এক বিষয়ে অকৃতকার্য ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে তিনি উপরের শ্রেণিতে পদন্নোতি দিয়েছেন তার ইচ্ছামতো। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।