সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ভোর থেকে পূর্ব নির্ধারিত এ ধর্মঘট শুরু করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল (২১ জেলা) পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
ধর্মঘটে খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় সোনাডাঙ্গা ট্রাক টার্মিনালসহ এসব জেলার বিভিন্নস্থানে আটকা পড়েছে পণ্যবাহী হাজারের বেশি ট্রাক।
আন্দোলনকারীরা জানান, পরিবহনে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই না করতে প্রেস নোট জারি, অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন, ওয়েব্রিজে জরিমানা বাতিল, ১২ হাজার টাকা স্কেল জরিমানা প্রত্যাহার, ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি ও অনিয়ম বন্ধ, কাগজপত্র পরীক্ষার নামে হয়রানি বন্ধ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ, ব্রিজের টোল কমানো, অপ্রয়োজনীয় স্পিড ব্রেকার অপসারণ, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া, জ্বালানি তেলের দাম কমানো, ভারতের পেট্রোপোল বন্দরে চালকদের নির্যাতন বন্ধ ও গত বছরের সীতাকুণ্ড থানায় ৪০০ জন অজ্ঞাত ট্রাক চালকের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তারা এ ধর্মঘট পালন করছেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল গফফার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার সকাল থেকে আমাদের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। যা ২১ জেলায় চলছে।
আমাদের দাবি অত্যন্ত ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও সেদিকে তারা নজর দেয়নি। যে কারণে আমরা অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।
এর আগে শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ধর্মঘটের ডাক দেয় সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
এমআরএম/জেডএস