রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জানান, বঙ্গভবন থেকে চিঠিটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সার্চ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সার্চ কমিটি গঠনে প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হবে বলে জানান শফিউল আলম।
তবে নামগুলো প্রকাশ করেননি সচিব। তিনি বলেন, আগে নামগুলো চূড়ান্ত হয়ে আসুক, তারপরে বলবো।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, একজন নারী সদস্যসহ ছয় সদস্যের সার্চ কমিটিতে সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকও রয়েছেন।
সংবিধান অনুযায়ী, আইন না হওয়ায় ইসি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। এজন্য তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩১টি দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংলাপে দলগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়।
বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশনের নিয়োগ হয়েছিল ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ ও জাবেদ আলী সে বছর ৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাদের মেয়াদও শেষ হবে ৯ ফেব্রুয়ারি।
আর নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। এজন্য তার মেয়াদ থাকছে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বর্তমান সিইসি ৯ ফেব্রুয়ারি তার পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করবেন। ফলে নতুন সিইসি ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এছাড়া পাঁচ সদস্যের কমিশন এবারও গঠন হলে একজনকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কেননা, নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার দায়িত্বে নিযুক্ত থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৭/ আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা/আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা
এমইউএম/এমআইএইচ/এইউডি/জেডএস