বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত বাগেরহাট সদর হাসপাতালে তার চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতদের মধ্যে- নাঈমা ইয়াসমিন (১০), মারিয়া (৮), তানভির (৯), আলিফ (৮), জব্বার শেখ, ইসমাঈল শেখ, সাহেব আলী, সোয়েব হাওলাদার, হালিমা বেগম, ইসরাফিল শেখ, শেখ শাহেদ, ইসলাম শেখ, রহমান শেখ, নাইম শেখ, মোতাহার শেখ ও জামাল হাওয়াদারের নাম জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, একটি পাগলা কুকুর সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ, সুন্দরঘোনা, চাঁপাতলা, সায়েড়া, সদুল্লাহপুর ও মগরা গ্রামের পথচারীদের কামড়ে জখম করে। সন্ধ্যার দিকে ওই কুকুরটিকে পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলা হয়।
এদিকে, বাগেরহাট সদর হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। রোগীদের অভিযোগ বিনামূল্যের ভ্যাকসিন বাইরে থেকে চড়া মূল্যে কিনে আনতে হচ্ছে। অনেকে টাকার অভাবে টিকা দিতে পাছেন না।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মুশফেকার শামস মেনন বাংলানিউজকে জানান, বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন কুকুরে কামড়ানো রোগী হাসপাতলে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. অরুণ কুমার মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতালে গত এক মাস ধরে ভ্যাকসিন শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। তাই কুকুরে কামড়ানো রোগীদের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৬ আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা
এনটি