বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন ভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা জানান, ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের আনুষ্ঠানিক যাত্রার উদ্বোধন করেন।
সুষ্ঠভাবে বাণিজ্য সম্পাদন ও আমদানি পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ৩০০ বিঘা জমির ওপর ২০০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে প্রয়োজনীয় সব অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু একই ধরনের বাণিজ্য বেনাপোল বন্দরে সম্পাদন হলেও গত ৩০ বছরে এখানে অবকাঠামো উন্নয়নের কোনো পরিবর্তন আসেনি। বন্দরে পরীক্ষাগার না থাকায় দূর থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যায়। এতে দীর্ঘ এসময় অপেক্ষা করতে হয় ব্যবসায়ীদের। এসব কারণে সব বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের লোকসান বহন করতে হয়। যার প্রভাব মূল্য বৃদ্ধিতে পড়ে দেশে আমদানি পণ্যের বাজারে।
তিনি আরও জানান, বেনাপোল বন্দরে সুষ্ঠভাবে বাণিজ্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজন বন্দর এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নতুন পণ্যগার নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ, জরুরীভাবে ১০ ক্রেন ও ফরক্লিপ ক্রয়, নিজস্ব ট্রাফিক ব্যবস্থা, কাস্টমস হাউজে বিএসটি আই অফিস নির্মাণ, বন্দরের প্যাছেনজার টারমিনাল ও বাস টারমিনাল যাত্রীসেবায় খুলে দেওয়া, বন্দর অভ্যন্তরে নিজস্ব একটি স্কুল, মসজিদ ও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ করা। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বন্দর উন্নয়নে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা আশা করছি দেশের বৃহত্তর এই বন্দরে বাণিজ্য সম্প্রসারণে সরকার আরও আন্তরিক হয়ে দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সিনিয়ার সহ-সভাপতি নূরুজ্জামান, সহ-সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, যুগ্ম সম্পাদক মহাসিন মিলন, জামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম, আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি ও সিঅ্যান্ডএফ সদস্য আমিনুল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৭
এজেডএইচ/এনটি