বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাশেম চৌধুরী এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন-লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের ওসমান গণি (৪৫) ও তার শ্যালিকা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গনিপুর গ্রামের ডা. মমিন উল্লাহর মেয়ে তাছলিমা আক্তার রুমা।
লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) জসিম উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ওসমান গণির সঙ্গে তার শ্যালিকা রুমার পরকীয়া ছিল। এর জের ধরে ২০০৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে ফেরদৌসী বেগম লিপিকে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন তার স্বামী ও বোন। এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ২৪ অক্টোবর নিহত লিপির বাবা ডা. মোহাম্মদ মমিন উল্লাহ বাদী হয়ে ওসমান গণিকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে ১৯ অক্টোবর ২০১০ সালে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) তদন্ত করে ওসমান গণি ও রুমাকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে শ্যালিকা ও দুলাভাইয়ের পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি বের হয়ে আসে। ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৭
এসআই