পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ৭১ এ বড় ধরনের কোনো যুদ্ধ হয়নি বান্দরবানে। তবে পাক হানাদার বাহিনীর কিছু সদস্য সে সময় বান্দরবানে আশ্রয় নেয়।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বান্দরবান সদর উপজেলা কমান্ডার শফিকুর রহমান জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েকদিন আগে জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের কানাইজুপাড়া এলাকায় পাক বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ হয় মুক্তিযোদ্ধাদের। ওই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পাক হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। এসময় শহীদ হন মুক্তিযোদ্ধা টিএম আলী।
শেষ পর্যন্ত ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার মুক্ত হয় বান্দরবান। সেই দিনে তৎকালীণ মহুকুমা প্রশাসক আবদুর শাকুরের নেতৃত্বে শহরের মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
আরবি/