সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় চতুর্থ শ্রেণির প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় ওই শিক্ষককে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) হাজির করা হলে বরগুনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম মাহমুদুর রহমানের আদালত তাকে জামিন দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর বরগুনা সদর উপজেলার ২৫৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক ও অভিন্ন প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। ০৯ ডিসেম্বর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রশ্নপত্র বিলি করা হয়। ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে প্রশাসন জানতে পারে, চতুর্থ শ্রেণির ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. মোখলেছুর রহমান তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মজিদ, সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ও ইউআরসি’র ইনস্ট্রাক্টর প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডলের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে দেন। পরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আগে বিলি করা প্রশ্নপত্রের প্যাকেট ১৩ ডিসেম্বর উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দিতে শিক্ষকদের নির্দেশ দেন। সকল শিক্ষক সিলগালা অক্ষত অবস্থায় প্যাকেট জমা দিলেও গোলাম সরোয়ারের প্যাকেট অক্ষত ছিল না।
এ অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলা করেন।
জামিনে মুক্ত শিক্ষক গোলাম সরোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমাকে যেভাবে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে, আমি সেভাবেই জমা দিয়েছি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এএসআর