বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এহেতেশামুল হক ওয়াকওয়ে পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি ছয় দিনের মধ্যেই এসব ময়লা-আবর্জনা দূর করতে নাসিকের পরিচ্ছন্নতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন।
এহেতেশামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি নিজে সকালে শীতলক্ষ্যার তীর ঘেঁষে ওয়াকওয়ে পরিদর্শন পরিদর্শন করেছি। আগামী ছয় দিনের মধ্যে আমরা ময়লা অপসারণ করবো। কারণ ইতোমধ্যে এ কাজের জন্য আমাদের বাজেট হয়ে গেছে। এখানে আমরা একটি ‘ময়লা ফেলা নিষেধ’ বিলবোর্ড বসাতে বিআইডব্লিউটিএকে বলেছি। যেহেতু এই ওয়াকওয়ের জায়গাটি তাদের, তাই তারাই এটি স্থাপন করবে। ’
‘পলিথিনগুলো পরিচ্ছন্নতা-কর্মীরা পুড়িয়ে ফেলবে এবং বাকি ময়লাগুলো অপসারণ করবে। ওয়াকওয়েতে দুর্গন্ধমুক্ত, ময়লা-আবর্জনাহীন সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে। বিআইডবিউটিএ এক্ষেত্রে সবসময় কাজ করবে, সহযোগিতা করবে নাসিক। ’
সিটি করপোরেশনের এ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ময়লা আমরা তো সবসময় নিয়মিত এখানে পরিষ্কার করতে পারবো না। আমাদের উদ্যোগী হতে হবে, যেন ময়লা আর এখানে কেউ না ফেলে। আমরা তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সিটি করপোরেশন এবং বিআইডব্লিউটিএ মিলে স্থানীয় গার্মেন্ট ও শিল্প কারখানার মালিক এবং আবাসিক বাড়ির মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসবো। খুব দ্রুত আমরা তাদের নিয়ে এ মতবিনিময় করবো এবং এখানে যেন ময়লা ফেলা বন্ধ করা যায়, সেজন্য তাদের সঙ্গে কথা বলবো। তবে এ মতবিনিময়ের কারণে ছয় দিনের কাজের মধ্যে গ্যাপ হতে পারে।
এহেতেশামুল হক প্রতিবেদনটির জন্য বাংলানিউজকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা চাইবো এভাবে সব সময় আপনারা আমাদের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। আমাদের উচিত হবে আমাদের পরিবেশকে সুন্দর রাখতে নির্ধারিত স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা। ’
গত মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ওয়াকওয়ে নিয়ে বন্দরবাসী এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় বাংলানিউজে। এর প্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশনের ত্বরিত পদক্ষেপ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। । সবাই প্রত্যাশা করছে, শীতলক্ষ্যা তীর ও ওয়াকওয়ে সুন্দর পরিবেশ ফিরে পাবে।
** দুর্গন্ধে হাঁটা যায় না শীতলক্ষ্যার ওয়াকওয়েতে!
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এইচএ/