বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার সরকারপাড়ার পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। সোহরাব সরকারপাড়ার শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্ত্রী উম্মে হানী অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মুড়াপাড়া দড়িকান্দি এলাকার এমদাদুল হক্ব পাভেল (৩৮), শহিদ মিয়া (৩৫), আমির খান (৩৪) এবং সবুজ মিয়া ওরফে সম্ভুসহ (৩২) অজ্ঞাত লোকজন তার স্বামী সোহরাবকে ৮ জানুয়ারি তারাব পৌরসভার নিউ ঢাকা টাউন এলাকায় একা পেয়ে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে ঢাকার অ্যাপোলো ও পরে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৯ মাস সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৭ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। ওইদিন সামাজিকভাবে সরকার বাড়ি জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মনির হোসেন সরকার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এদিকে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং মৃত্যুর আগে সোহরাব হামলাকারীদের বর্ণনা দিয়ে গেছেন বলে দাবি করেছেন বাদী উম্মে হানী।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী উম্মে হানী বাদী হয়ে ২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের আমলি আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
১৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দাফনকৃত মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। সে নির্দেশ মতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক একেএম শোয়েবসহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
আরবি/