বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) ডিএমপি সদর দফতরে ত্রিদেশীয় সিরিজের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এ কথা জানান ডিএমপি কমিশনার।
আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অংশগ্রহণে ঢাকায় শুরু হবে ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, দেশটা আমাদের, রাষ্ট্রীয় সম্মান রক্ষার্থে পুলিশ ও বিসিবির সঙ্গে সমন্বয় করে সবাইকে কাজ করতে হবে। বিমানবন্দর কেন্দ্রিক, খেলোয়াড়দের আবাসনস্থল, খেলার ভেন্যু, প্রাকটিস ভেন্যু ও যাতায়াত পথের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আমরা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবো।
হোটেলগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থার পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে, লাগেজ স্ক্যানারসহ মেটাল ডিটেক্টর থাকতে হবে। বহিরাগত অতিথিরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করতে হোটেল রুমে যেতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।
খেলোয়াড়দের যাতায়াত পথে নেওয়া হবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত রুফটপ ডিউটি ও টহল ব্যবস্থা। রাস্তার পাশে ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদসহ ময়লা আবর্জনা অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
বিসিবির উদ্দেশে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, টিকিট ছাড়া কোনো লোক যেন স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য লক্ষ্য রাখতে হবে। সিট প্লানিং অনুযায়ী দর্শকদের নিজ নিজ আসনে বসতে হবে।
টিকিট কালবাজারি ঠেকাতে প্রস্তুত থাকবে ডিবি ও পোশাকধারী পুলিশ। খেলা ও অনুশীলনের আগে এসবি ও র্যাব দিয়ে ভেন্যু সুইপিং করা হবে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য হোটেল ও ভেন্যুতে রাখা হবে পর্যাপ্ত ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স। ভেন্যু অপারেশন সেন্টার (ভিওসি) থেকে সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
যার যা দায়িত্ব সে সঠিকভাবে পালন করলে একটি নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল সিরিজ উপহার দেওয়ার কথা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা আরো একবার সমন্বিত নিরাপত্তা প্রদান করে আমাদের ওয়াল্ড ক্লাস নিরাপত্তা দেওয়ার সক্ষমতার প্রমাণ দেবো।
সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিসিবি, গোয়েন্দা সংস্থা, ডিসিসি, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
পিএম/এমজেএফ