বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম হস্তান্তরের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে জানান, ফেরত আসা নারী-শিশুদের তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৩টি এনজিও সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন- সাতক্ষীরার বাগুড়ে গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে নুসাইন শেখ (১৩) ও মোমিনুর শেখ (১১), যশোরের শার্শা উপজেলার কাঠুরিয়া গ্রামের মান্নান শেখের ছেলে সেলিম শেখ (১১), শার্শার সাদিপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে হায়দার (১২), যশোর সদর এলাকার ইরশাদ মোড়লের ছেলে ইসরাফিল (১০), খুলনার রুপসা দেয়াড়া গ্রামের কবীর শেখের ছেলে আবুল হাসান (১২), বাগেরহাটের গোপালপুর গ্রামের সেলিমের ছেলে মুকতার (১০), চাঁদপুরের রশিদ খানের মেয়ে সাথী আকতার (১৮), গাজীপুরের আজিজুলের মেয়ে আকলিমা (১৯), মাগুরার মান্নান মজুমদারের মেয়ে শিরীনা বেগম (২১), সুবাস চন্দ্রের মেয়ে সিমু বিশ্বাস (১৪), ঢাকার আহম্মেদের মেয়ে ছালমা আক্তার (২০), মীরপুরের হারুনর রশিদের মেয়ে হালিমা আক্তার (১৯), সাতক্ষীরার খুলনা দৌলতপুর এলাকার আনোয়ার ব্যাপারির মেয়ে আখি খাতুন (২০), চাঁদপুরের বাবুরহাট এলাকার রশিদ খানের মেয়ে সাথী আক্তার (২২)।
ফেরত বাংলাদেশিদের মধ্যে আহসানিয়া মিশনের এনজিও প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম গ্রহণ করেন ৫ কিশোরকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ মহিলা আইজীবী সমিতির নূরনাহার নিয়েছেন ৪ জনকে ও রাইটস যশোরের তাহামিনা গ্রহণ করেছেন ৫ জনকে।
এনজিওকর্মী নূরনাহার বাংলানিউজকে জানান, ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে পাচারকারীরা ফেরত আসা নারী-শিশুদের ভারতে নিয়ে যায়। এসময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে কলকাতার নিলুয়াহোম নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের জিম্মায় রাখে। পরে তাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিট আইনে তারা ফিরে আসছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এসময় কারো পরিবার যদি পাচারকারীদের সনাক্ত করে মামলা করতে চায় তাহলে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
জেডএস