বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পার্মানেন্ট সেক্রেটারি মিন্ট থো। মিয়ানমারের রাজধানী নি পি দোতে এ সভাটি হবে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে হামলা শুরুর পর ইতিহাসের ভয়াবহতম এ জাতিগত নিধন শুরু করলে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা।
তাদের কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয় দেওয়া হলেও শুরু থেকেই বাংলাদেশের দাবি ছিলো, নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে হবে মিয়ানমারের নাগরিকদের।
নানা কূটনৈতিক চাপের পর গত বছরের ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নি পি দোতে দু'দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সমঝোতা সই হয়, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয় মিয়ানমার। সমঝোতা অনুযায়ী ২ মাসের মধ্যে শুরু করার কথা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রথম ধাপ।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের পরে যেসব রোহিঙ্গা এসেছে, শুধু তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য বিবেচনা করা হবে। এ প্রত্যাবাসন হবে ধাপে ধাপে।
এরপর ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় দু'দেশের মধ্যে গঠন করা হয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ। দু'দেশের পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের এ কমিটি জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারে প্রথম বৈঠকটি করবে।
এখানে রোহিঙ্গা নেতৃত্বদের ফিরিয়ে নেওয়ার সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে। সেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা যুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮
কেজেড/এএটি