শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় ফোরামের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে শাহবাগ কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের প্রধান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।
সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের অন্য জেলার তুলনায় ময়মনসিংহ শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এছাড়া দেশের সংস্কৃতি থেকে পুথিপাঠ, কিসসা, গল্প, জারি-সারি গান প্রায় হারিয়ে গেলেও ময়মনসিংহ এখনো তা জিইয়ে রেখেছে। আর এ কাজটি যারা করছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম অবশ্যয় প্রশংসার যোগ্য।
সভাপতির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এ ফোরামের রজতজয়ন্তী নিজহাতে করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। ফোরামের মধ্য দিয়ে শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ময়মনসিংহ ভবিষ্যতে আরো সমৃদ্ধ হবে।
শিক্ষাক্ষেত্রে নতুনত্ব আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় আগামী প্রজন্মকে আমরা সঠিকভাবে জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রস্তুত করতে পারবো না। শিক্ষার্থীদের আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন জরুরি। এক্ষেত্রে পাঠদান প্রক্রিয়া, পাঠক্রম প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনে শিক্ষকদেরও পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনের পাশাপাশি তা অবশ্যই ডিজিটাল করতে হবে। তা না হলে আগামী প্রজন্মকে জীবিকার সন্ধান দেওয়া সম্ভব হবে না।
ময়মনসিংহে একটি আন্তর্জাতিক লোকসংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ, খাদ্য ও চিনি সংস্থার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমানসহ ফোরামের নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি।
আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে রজতজয়ন্তী উপলক্ষে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। এসময় ঘোড়ার গাড়ি ও রিকশায় অংশ নেন শত শত জনগণ। পরে তাদের বরণ করে নেওয়া হয় শীতের পিঠা দিয়ে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের মহাসচিব রাশেদুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রূপা চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জানুযারি ০৫, ২০১৭
এইচএমএস/এএ