শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, তুরাগ তীরের ১৬০ একর জায়গাজুড়ে তৈরি করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল।
পুরো এলাকাকে বিভক্ত করা হয়েছে জেলাভিত্তিক খেত্তায়।
ইজতেমার মাঠের প্রবেশ গেটের প্রহরী নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ৮ জানুয়ারি কাকরাইল মসজিদ থেকে মুসল্লিদের একটি দলের প্রবেশের মাধ্যমে শুরু হবে মুসল্লিদের আগমন। এখন খেত্তায় খেত্তায় জেলা ও উপজেলার নামের পোস্টার লাগানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজার হাজার মুসল্লি তুরাগ নদীর তীরে এসেই স্বেচ্ছায় কাজ শুরু করে দেন। প্রস্তুতির কাজ করছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও। অনেক মুসল্লি কিছুদিন আগেই এসে কাজ শুরু করেছেন।
আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১২ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরুর আগেই প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর ৩২টি জেলার মুসল্লিদের নিয়ে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্বে অংশ নেবেন দেশের ১৬টি জেলার মুসল্লিরা। দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন বাকি ১৬টি জেলার মুসল্লিরা। বাকি ৩২টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নিবেন আগামীবারের বিশ্ব ইজতেমায়।
ইজতেমা ময়দানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর ১১ হাজার সদস্য মোতায়েন করবে প্রশাসন। ইতিমধ্যে ময়দানের চারপাশে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি খেত্তায়, তুরাগ নদে ও আকাশ পথে মহড়া দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৮
এসই/এমজেএফ