মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের মাদারপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রুহুল আমিন মহিমাগঞ্জ চিনিকলের লেবার সর্দার।
তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের জয়পুরপাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে।
পিবিআই গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকতার হোসেন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, রুহুল আমিন সাঁওতাল পল্লীতে হামলা হামলার ঘটনায় থমাস হেমব্রনের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
‘প্রাথমিক তদন্তে ওই হামলায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বুধবার তাকে গোবিন্দগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। ’
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমিতে আখ লাগানোকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত ও পুলিশের গুলিতে তিন সাঁওতাল নিহত হন। পরে সাঁওতালদের ওপর নির্যাতন চালায় পুলিশ।
এরপর ১৬ নভেম্বর স্বপন মরমুর বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫-৬শ’ জনের বিরুদ্ধে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন। কিন্তু স্বপন মুরমুরের মামলা নিয়ে আপত্তি তুলেন সাঁওতালরা।
পরে ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালদের পক্ষ থেকে থমাস হেমব্রন বাদী হয়ে ৩৩ জন এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত আরও ৫-৬শ’ জনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের কাছ থেকে হস্তান্তর হওয়া বর্তমানে মামলা দু’টি তদন্ত করছে পিবিআই।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমএ