বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘রংপুরের সফল নির্বাচনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন।
সুজনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী ইমাম মজুমদার বলেন, রসিক ও কুসিক জাতীয় নির্বাচনের মডেল হতে পারে না।
তিনি বলেন, আমরা রসিক নির্বাচনে দেখেছি ইসি ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ৩৩টি এবং বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ১১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এছাড়া সাড়ে পাঁচ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে সব জায়গায় এতো লোকবল নিয়োগ করা সম্ভব নয়। তাই কুসিক ও রসিক নির্বাচন মডেল হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হলে সব প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ অবস্থানে নিরপেক্ষ থেকে কাজ করতে হবে। যাতে নিশ্চিন্তে মানুষ প্রার্থী হতে ও ভোট দিতে পারেন। এছাড়া নির্বাচনে অবশ্যই সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কুসিক ও রসিক নির্বাচনে সব অংশীদারি প্রতিষ্ঠান দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ৫ সিটি করপোরেশনের নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি। তাই আমরা রসিক নির্বাচন দেখে বলতে পারিনা আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে অংশীদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করাসহ নির্বাচনের সময় কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব শফিউল আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
এমএসি/এসএইচ