রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দই নারীর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।
এরমধ্যে কুড়িগ্রামের মনিডাকুয়া গ্রামের এনামুল হকের স্ত্রী নুরিজা বেগম বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে মারা যান এবং অপরনারী পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার গোলাম মোস্তফার স্ত্রী আরজিনা বেগম বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় মারা যান।
এ নিয়ে গত ১৩ দিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে যারা নিহত হলেন- লালমনিরহাট জেলার সদর থানার সাম্মি আখতার (২৭), একই জেলার পাটগ্রামের ফাতেমা বেগম (৩২) ও আলো বেগম (২২), রংপুরের কাউনিয়ার গোলাপি বেগম (৩০), নীলফামারীর রেহেনা বেগম (২৫), রংপুর নগরীর নজিবের হাট এলাকার বেলাল হোসেনের স্ত্রী আফরোজা খাতুন (৪০), ঠাকুরগাঁও শহরের থানাপাড়ার আঁখি আক্তার (৪৫), রংপুরের জুম্মাপাড়া পাকার মাথার রুমা খাতুন (৬৫), রংপুর মাহিগঞ্জের চাঁন মিয়ার স্ত্রী মনি বেগম (২৫), নীলফামারী সদরের সোনারাম গ্রামের আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মারুফা খাতুন (৩০), লালমনিরহাট জেলার রাজপুর গ্রামের শুকমনি (৭০), রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার জামেরন বেওয়া (৮০) ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার হাসু বেগম (৬৫)।
রমেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা যায়, চলমান শৈত্যপ্রবাহ ও শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে গত ৬ জানুয়ারি থেকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি হন রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার অর্ধশত নারী ও শিশু। আহতদের শরীরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে যায়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী পরিচালক নূরে আলম বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড শীত থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহানোর সময় বিভিন্ন সময় অন্তত ৫৫ জন দগ্ধ হন।
এদের রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
জিপি