বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তোষাখানা নির্মাণ কাজ সংক্রান্ত পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশ থেকে পাওয়া উপহার ও স্মারক সংরক্ষণে রাজধানীর বিজয় সরণির কাছে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার ও সামরিক জাদুঘর এলাকায় তোষাখানা নির্মাণ করছে সরকার।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রকল্পটির বিস্তারিত তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তোষাখানার কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, জলবায়ুর আদ্রতার কারণে তোষাখানায় রক্ষিত কোনো সামগ্রী যাতে নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে না পারে সে লক্ষ্যে নির্মাণ কাজে প্রয়োজনীয় মান বজায় রাখতে হবে।
তোষাখানাটি চলতি বছরের জুনে উদ্বোধনের জন্য পুরোপুরি তৈরি হবে বলে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়।
প্রায় ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনে দুই বেসমেন্টের উপর পাঁচতলা ভবনটি নির্মিত হবে।
পরে একই স্থানে রাজধানীর পূর্বাচলস্থ ৩০০ ফুট রাস্তার পাশে নির্মিত খালের নকশাও প্রজেক্টরে প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন এবং যথাযথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমইউএম/এমএ