এসময় পুলিশ প্রশাসন প্রায় প্রতিটি সড়কের মোড়ে অবস্থান নিলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। হকাররাও বিকেলের মধ্যে সড়ক দখল করে বসতে শুরু করেন।
তবে প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় সন্ধ্যায় সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাকসহ পুলিশের একটি টহল দল হকারদের বুঝিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক (বিবি রোড) থেকে সরিয়ে দেয়।
উচ্ছেদের ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরফুদ্দিন জানান, হকাররা চাষাঢ়া-বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত বসতে পারবেন না। এদিকে তাদের বসার অনুমতি নেই। এটা আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। অনেকে বস্তায় করে কিছু মালামাল নিয়ে বসেছিলেন। তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক ছাড়া অন্য সড়কগুলোতে হকাররা বসতে পারবেন। কিন্তু হকাররা সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বুধবারই ঘোষণা দেন তারা এ সিদ্ধান্ত মানেন না। যদি বসতে হয় সব সড়কের ফুটপাতেই বসবেন।
হকাররা জানান, এই আন্দোলন তাদের রুটি-রুজির জন্য। তারা তাদের ব্যবসা চালু রাখতে চান।
গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে নারায়ণগঞ্জে হকার উচ্ছেদ শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। এরপর থেকেই হকাররা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আন্দোলন চলাকালীন একাধিকবার মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের দ্বারস্থ হন হকাররা।
গত ১৫ জানুয়ারি হকাররা শহরে তাদের বসতে দেওয়ার জন্য বিশাল সমাবেশ করেন। গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) শহরের চাষাঢ়ায় উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে হকারদের সঙ্গে মেয়রের লোকজনদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ নেতা, হকারসহ অন্তত অর্ধশত লোকজন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
আরআর