শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের অধীনে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় মাগুরা শহরের স্টেডিয়াম পাড়া বালিকা মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন- ভুয়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মাগুরা সদর উপজেলার আবালপুরের সাহেব আলী।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাগুরা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্তকর্তা (ইউএনও) আবু সুফিয়ান বাংলানিউজকে বলেন, সাহেব আলী একটি খামার একটি প্রকল্পের মাঠ সহকারী পদের একজন পরীক্ষার্থী। তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরিচয় দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সাফায়াত হোসেনকে শ্রুতি লেখক হিসেবে মনোনীত করেন। সরকারি নিয়মানুযায়ী যে যোগ্যতার পরীক্ষা তার চেয়ে কর্ম যোগ্যতার শিক্ষাথীকে শ্রুতি লেখক হিসেবে মনোনয়ন দিতে হয়। প্রতারক সাহেব আলী এক্ষেত্রে সাফায়াতকে পাবনা জেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র দেখিয়ে সনদ জমা দেয়। কিন্তু আসলে সাফায়াত মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র।
এছাড়া সাহেব আলী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নয়। সে দেখতে পায়। শুক্রবার কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার সময় দায়িত্বরতদের কাছে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়লে মাগুরা জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমানকে তারা বিষয়টি জানান। জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে এসে এ ব্যাপারে তদন্ত করলে সাহেব আলী ও সাফায়েত তাদের দোষ স্বীকার করেন। যার প্রেক্ষিতে তাদের দু’জনসহ এ কাজে সহযোগিতার জন্য শিমুল নামে আরো একজনকে এ দণ্ড দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ