অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আদালতে দায়ের করা মামলার বাদী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে বাড়ি দু’টির বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব কর্তৃপক্ষ।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, লালবাগ কেল্লা একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় এটি অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে। এ স্থাপনাটি পারিপার্শিক অবস্থার কারণে বিশ্ব ঐতিহ্যের মূল তালিকায় যাচ্ছে না।
কেল্লার সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে দু’টি বাড়ি উচ্ছেদে ৬ বছর আগে আমরা একটি মামলা দায়ের করি। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে এক রিটে আদালত জানান, বাড়ি দু’টির প্রকৃত জায়গা লালবাগ কেল্লার। পরে এ বিষয়ে করা তদন্ত কমিটির পূর্নাঙ্গ রিপোর্টের ভিত্তিতে আপিল ডিভিশন বাড়ি দু’টির বর্ধিত অংশ উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। আদেশের ভিত্তিতে বাড়ির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মাধ্যমে বাড়িগুলো ভাঙা হচ্ছে।
এ উচ্ছেদ শুধু লালবাগ কেল্লার জন্যই নয় সব ঐতিহাসিক স্থাপনায় অবৈধ দখলের জন্য একটি মাইলফলক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ৬০-৭০ বছর ধরে অবৈধভাবে দখলের পরও যে উচ্ছেদ করা যায় এর মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আলতাফ হোসেন বলেন, এ বাড়ি দুটি ছিলো লালবাগ কেল্লার বিষফোঁড়া। এটি উচ্ছেদে ভূমিকা রাখার জন্য এইচআরপিবিকে ধন্যবাদ। আদালতের এ রায় প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহাসিক স্থাপনার জন্য মাইলফলক।
যারা এখানে ৭০ বছর ধরে দখল করেছিলো আরএস, বিএস জরিপ রেকর্ডেও তাদের নাম ছিলো। আমরা প্রত্নত্ত্ব অধিদফতর থেকে যে কমিটি করেছিলাম সেই কমিটি মুখল আমলের লালবাগ কেল্লার ম্যাপ সংগ্রহ করেছিলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
পিএম/ওএইচ/