আফসানা সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ও আরামবাগ এলাকার আশরাফুল ইসলামের মেয়ে।
অপহরণের তিনদিন পর শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে সোনারগাঁ উপজেলার কাইকারটেক এলাকা থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে অপহরণের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন শিশুটির বাবা মো. আশরাফুল ইসলাম। সেখানে গত ২৩ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে স্কুলের উদ্দেশে বের হয়ে আফসানা আর বাসায় ফেরেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে অপহরণের দু’দিন পর শুক্রবার সকালে কাইকারটেক এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একটি শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহটি সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। বিকেলে সেখানে মেয়ের মরদেহ সনাক্ত করেন আফরাফুল ইসলাম।
আফরাফুল ইসলাম বলেন, এর আগে ২৪ জানুয়ারি রাতে ফোনে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি মেয়েকে অপহরণ হয়েছে জানায়। এ সময় ফোনে তার বিকাশের মাধ্যমে ৬ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের কথা মতো মেয়েকে উদ্ধারে আমি টাকা দিতে রাজি হই এবং কোথায় আসতে হবে জানতে চাই? উত্তরে তারা নিতাইগঞ্জ যাওয়ার কথা বলে মেয়ের মরদেহ পাবেন বলে জানায়।
তিনি আরো জানান, আমাদের সঙ্গে কারো কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কারো সঙ্গে কোনো দেনা-পাওনাও নেই। কাউকে সন্দেহও করতে পারছি না। মাত্র ৬ হাজার টাকার জন্য এমন কারা করতে আমার বুঝে আসছে না। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
শিশুটির মা রুবিনা বেগম বলেন, আমার বাচ্চা মেয়েকে কেন তারা মেরে ফেললো। মাত্র ৬ হাজার টাকার জন্যতো আর কেউ কাউকে মারতে পারে না। ওরা আমার মানিককে মেরে ফেলার জন্যই নিয়ে গেছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) আব্দুর জব্বার বাংলানিউজকে জানান, সকালে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেক ব্রিজের পূর্বপাশে বস্তাবন্দি, হাত-পা বাঁধা ও মুখে কচটেপ লাগানো অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুশিকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
ওএইচ/