ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শ্রীমঙ্গলে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ে কর্মশালা

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
শ্রীমঙ্গলে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ে কর্মশালা

মৌলভীবাজার : ‘চা বাগানগুলোতে মেয়েদের ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যায়। ফলে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এ ঝুঁকি থেকে কাটিয়ে উঠার একমাত্র উপায় হলো অবশ্যই তাদের আঠারো বছরের পর বিয়ে দেওয়া উচিত।’

চা বাগানে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার এবং পরিবার পরিকল্পনা রিপোর্টিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান আলোচক শ্রীমঙ্গল উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জয়নাল আবেদিন টিটু এ কথা বলেন।  
 
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শ্রীমঙ্গল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৬ হাজার ১৬২ জন নারীর সুস্থ ও নিরাপদভাবে সন্তান জন্ম দিয়েছেন।

এর মধ্যে ১ হাজার ৪২১ জন নারী ছিলেন চা শ্রমিক। এই সময়ে গর্ভবতী নারীর মৃত্যু সংখ্যা ছিল ১১ জন, আর কেবল চা বাগান এলাকায় মারা গেছেন ৭ জন নারী। ’
 
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্তু শ্রীমঙ্গল শহরের উত্তরসুর এলাকার ব্রাক লানিং সেন্টারে এই কর্মশালা হয়। এর উদ্বোধন করেন সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড) এর পরিচালক ফিলিপ গাইন।
 
সিআইপিআরবি ও ইউএনএফপিএ এর সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শ্রম আইনে চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সুবিধা এবং চা বাগানের বাস্তবচিত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং শ্রমিক নেতা রামভজন কৈরী।
 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিআইপিআরবি’র জেলা সমন্বয়কারী মো. আলতাফুর রহমান। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল, কমলঘঞ্জ, কুলাউড়া ও জুড়ী থেকে মোট ২২ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় দুপুরের পর মাঠের বাস্তবচিত্র দেখতে একটি গ্রুপ সাতগাঁও ইউনিয়নের আমরাইল ছড়া ও আরেকটি গ্রুপ কালাপুর ইউনিয়নের ডাকছড়া চা বাগানের একটি শ্রমিক লাইন পরিদর্শন ও গর্ভবতী মায়েদের সঙ্গে কথা বলে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
বিবিবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।