শনিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সম্প্রীতির নির্বাচন, নতুন সরকার ও আগামী দিনের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তারা এ প্রত্যাশার কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, প্রশাসনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃস্থানীয়দের নিয়ে গাহি সাম্যের গান শিরোনামে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’।
সভার স্বাগত বক্তা স্বাগত বক্তব্যে মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত পরাজিত করে এক এসিড টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ। যারা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনীতি করে, তাদের সেই রাজনীতিকে প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ।
তবে ২৮৮টি আসনে বিশাল জয়ে আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের উদ্দেশে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, আমাদের পঁচাত্তরের কথা ভুলে গেলে চলবে না। দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা, ষড়যন্ত্রকারী যেকোনো সময় আঘাত হানতে পারে। পঁচাত্তরের পর এরা বাংলাদেশে কলুষিত রাজনীতি শুরু করেছিল। আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো, এদের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব না হলেও সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। না হলে সুশাসন নিশ্চিত করা যাবে না।
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য মাহফুজা খানম নতুন নির্বাচনের আগে ঘোষিত ইশতেহার শতভাগ বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মনিটরিং টিম, চেক আউট লিস্ট এবং ৫০ ও ১০০ দিনের কাজ ঠিক করে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ-যুবলীগকে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত তৎপরতা থেকে নিয়ন্ত্রণ করার অনুরোধ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, আমরা চেয়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, মানবিক দর্শনের মানুষ যেন এবারের নির্বাচনে জঙ্গিবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেয়। আমরা তা পেয়েছি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবির, মানবাধিকারকর্মী অ্যারোমা দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অসীম কুমার সরকার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮
এসই/এইচএ/