সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পলাশ, পোগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দারপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের একমাত্র ছেলে ও পোগলদিঘা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের মেধাবী ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, এসএসসি পরীক্ষার্থী পলাশ মিয়া ও বন্ধু ফাহিম মিয়াসহ ১০/১২ জন বন্ধুদের নিয়ে পাওনা টাকা চাইতে সাগর মিয়ার বাড়িতে যায়। টাকা চাইতে গেলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
এ সময় পলাশ মিয়া ও বন্ধু ফাহিম মিয়াসহ অন্যান্য বন্ধুদের লাঠিপেটা করতে থাকে সাগর মিয়া ও তার বাড়ির লোকজন। এতে সবাই দৌড়ে স্থান ত্যাগ করলেও পলাশ মিয়া মাটিতে পড়ে যায়। পরে তার ওপর হামলা চালিয়ে কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে সাগর। এতে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে পলাশ । পরে পলাশকে লেপ দিয়ে মুড়িয়ে সাগর মিয়ার বাড়ির লোকজন এক কিলোমিটার দুরে আব্দুল্লাহ মোড় এলাকায় ফেলে আসে। পরে সেখান থেকে পলাশকে প্রথমে সরিষাবাড়ী পরে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাগর মিয়াসহ তার বাড়ির লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
সোমবার সকালে এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাগরের দাদি রওশনারা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) জোয়াহের হোসেন খান জানান, পলাশ হত্যার মামলা এখনো হয়নি তবে প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় সাগর মিয়ার দাদি রওশনারা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
এনটি