বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন আসামিকে হাজির করে মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদসহ আরও অনেকেই জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পরবর্তীতে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে উল্লেখ করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়।
জনতা ব্যাংকের অর্থপাচারের ঘটনার তদন্তে বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সদর দফতরে এম এ কাদেরকে ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সন্ধ্যায় রাজধানীর চকবাজার মডেল থানায় এম এ কাদেরসহ ১৭ জনকে আসামি করে মানি লন্ডারিং আইনে আলাদা তিনটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
মামলার এজাহারে ক্রিসেন্ট গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস, ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ ও রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের নামে ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
সূত্র জানায়, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ৪২২ কোটি ৪৬ লাখ, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড ৪৮১ কোটি ২৬ লাখ এবং ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেড ১৫ কোটি ৮৪ লাখ মোট ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ক্রিসেন্ট গ্রপের পরিচালক ও রিমেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটুল জাহান মিরা, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম মনি, জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইদুজ্জাহান, প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) মুহাম্মদ রুহুল আমিন, মগরেব আলী, খায়রুল আমিন, এজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) আতাউর রহমান সরকার, ডিজিএম মো. ইকবাল, একেএম আসাদুজ্জামান, কাজী রইসউদ্দিন আহমেদ, জিএম রেজাউল করিম, ডিএমডি ফখরুল আলম এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের বর্তমান ডিএমডি জাকির হোসেন (তৎকালীন জনতা ব্যাংকের জিএম)।
চকবাজার থানায় তিনটি মামলা করলেও দু’টি মামলায় এখনো তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এমএআর/এএ