ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গণধর্ষণ মামলার আসামির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯
গণধর্ষণ মামলার আসামির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার রাকিবের নিথর দেহ, ছবি: বাংলানিউজ

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুরে রাকিব মোল্লা (২০) নামে গণধর্ষণ মামলার এক আসামির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার রাজাপুর সদর ইউনিয়নের আঙ্গারিয়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ভাটা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত রাকিব পার্শ্ববর্তী পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের বাসিন্দা এবং ভান্ডারিয়া থানার এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার আসামি বলে পুলিশ প্রাথকিমভাবে জানিয়েছেন।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মাইনুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে ওই এলাকায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাথায় রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের বুকে একটি কাগজের চিরকুট লেখা রয়েছে ‘আমি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার … ধর্ষক রাকিব। ধর্ষণের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকরা সাবধান। হারকিউলিস। পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।

এদিকে রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ গিয়ে মরদেহ ও ঘটনস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া চিরকুট দেখে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশকে অবগত করে তার পরিচয় জানতে পারেন এবং কে বা কারা তাদের হত্যা করে মরদেহ ফেলে গেছে। সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছে না পুলিশ।  রাকিবের মাথায়, মুখে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। যা দেখে প্রাথমিকভাবে রক্তাক্ত গুলির জখমের চিহ্ন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ১২ জানুয়ারি সকালে ভান্ডারিয়া উপজেলার হেতালিয়া গ্রামে একছাত্রীকে পানের বরজে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনার পর মেয়েটির পরিবার গত ১৭ জানুয়ারি ভান্ডারিয়া থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।   আবুল কালাম মোল্লার ছেলে রাকিব হাসান ও আলম জোমাদ্দারের ছেলে সজল জোমাদ্দারকে আসামি করা হয়।

এরপর গত শনিবার জেলার কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের বলতলা গ্রামের একটি মাঠ থেকে একই ধর্ষণ মামলার ২নং আসামি সজল জোমাদ্দারের (২৫) গুলিবিদ্ধ মনদেহ উদ্ধার করে কাঠালীয়া পুলিশ। তার গলায়ও একই রকম লেমিনেশন যুক্ত একটি চিরকুট লাগানো ছিল। ওই ঘটনায় সজলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার হয়েছে দাবি করে নিহতের বাবা শাহ আলম জোমাদ্দার বাদী হয়ে ২৯ জানুয়ারি কাঠালিয়া থানায় এ মামলা করেন। মামলায় ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর বাবাসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। সজল জোমাদ্দার একটি কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় বসবাস করতেন। গত ২২ জানুয়ারি তাকে অপহরণ হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৯
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।