শনিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের দক্ষিণ লনের সবুজ চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে গণভবনে হাজির হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতারা।
বিকেল ৪টার কিছু পরে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে সহাস্যে কুশলাদি বিনিময় করেন তিনি।
চা-চক্র চলে সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত। পরে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন খসরু।
অনুষ্ঠানে বিরোধী দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, জাপা নেতা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন বাবলু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, সুনীল শুভ রায়, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদ (আম্বিয়া) নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল, নাজমুল হক প্রধান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা প্রমুখ যোগ দেন।
এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মিসবাহুর রহমান চৌধুরী, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদোজ্জা চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) এমএ মান্নান, মাহী বি চৌধুরী এবং শমশের মবিন চৌধুরী, বিএনএফ প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, ১৪ দলের নেতা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
এদিকে অনুষ্ঠানস্থলকে আবহমান বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্যের সাজে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি বাজানো হয় দেশের গান। আর অতিথিদের ফুচকা, চটপটি, পাঠিসাপটা পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পুলি পিঠা, জিলাপি, কাবাব-রুটি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
এছাড়াও খাবারের তালিকায় ছিলো বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল, জুস, চা-কফিসহ বাঙালি ঐতিহ্যের নানা খাবার।
পরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, আমরা শুধু চা-চক্রই করিনি, এখানে আমরা রাজনৈতিক ও বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময়ও করেছি। আমাদের আতিথেয়তার ঘাটতি থাকলে সেটা আমরা হৃদয়ের উষ্ণতা দিয়ে পূরণ করার চেষ্টা করেছি।
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এসেছেন, খোলামেলা আলোচনা করেছেন-এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আশা করি প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ আপনাদের ভালো লেগেছে।
দেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সবার সহযোগিতা কামনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময়ে তার দেওয়া অঙ্গীকারগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চান। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯/আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা
এমইউএম/এমএ