রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ের গণমাধ্যমকেন্দ্রে আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে উপমন্ত্রী নিজেই এ কথা জানান। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সাংবাদিক ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপমন্ত্রী বলেন, শুক্র-শনিবার যেহেতু মন্ত্রণালয় বন্ধ, সেহেতু সরকারি গাড়ি ব্যবহার করি না। অন্য দিনগুলোতে কেবল পিক অ্যান্ড ড্রপে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করি। সরকারিভাবে দু’টো গাড়ি পেলেও একটাও বাসায় নেইনি।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম তার মন্ত্রণালয়ে আসা দলীয় নেতাকর্মীদের নিজ খরচে চা-নাস্তার ব্যবস্থা করেন বলেও জানান সংলাপে। তিনি বলেন, আমি যেহেতু আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেহেতু মন্ত্রণালয়ে অনেকেই আসবেন। সরকারি খরচ বাঁচাতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কাউকে চা পান করানোর ব্যবস্থা হবে না। আমি নিজে সেটা ব্যবস্থা করবো।
উপমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি আর রাজপথের ইতিহাস ছোটোবেলা থেকেই। আর সচিবালয়ে আমি নতুন। ৭ (জানুয়ারি) তারিখে শপথ নিয়েছি ৮ তারিখে মন্ত্রণালয়ে এসেছি। আপনাদের সহযোগিতা আমি চাই।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আমি আপনাদের ভাই-বন্ধু। যে কোনো বিষয় আমার সঙ্গে শেয়ার করবেন এবং বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামীম বলেন, দুর্নীতি যে পর্যায়েই হোক না কেন এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো। আমরা আগে রোগ নির্ণয়ের চেষ্টা করছি। দুর্নীতি বন্ধের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আমার দায়িত্ব এখনো একমাসও হয়নি। আমি ৬টি নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। আসলে মানবতার সেবা করাই মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি সব রাজনৈতিক দল উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চা-চক্রে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের না যাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, অসৌজন্যমূলক আচরণ করা বিএনপির একটি স্বভাব। প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে অংশ না নেওয়াও অসৌজন্যমূলক।
তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তির বিষয়টা প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক পর্যায়ে রয়েছে। আমরা আশা করছি বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে এ চুক্তিটি দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
আরএম/এইচএ/