শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাঁচজনকে আটক করার পর রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।
আটক পাঁচজন হলেন- মোহাম্মদ আবদুস সোবহান, মোহাম্মদ নাঈমুর রহমান তুষার, রিয়াজুল ইসলাম মৃদুল, মোসাম্মৎ নারগিছ বেগম ও মোহাম্মদ ওয়াহিদ।
তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সোবহান দীর্ঘদিন ধরে একাধিক কোম্পানির লেবেল ব্যবহার করে নিজস্ব প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ওষুধে সব তথ্য সম্বলিত সিল দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন ওষুধ বিভিন্নভাবে সংগ্রহ করে মেয়াদ, ব্যাচ নং, মূল্য ইত্যাদি নতুনভাবে সংযোজন করে পুনরায় বাজারজাত করে আসছিলেন বলে জানান।
এক প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নকল ওষুধ তৈরি করে আসছিল। শিশুদের দিয়েই নানান অভিনব কৌশলে তারা এসব সরবরাহ করাতো। বিভিন্ন অখ্যাত ফার্মেসির মাধ্যমে মার্কেটিং করে নকল ওষুধগুলো বেচে জনসাধারণকে প্রতারিত করে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, পুরো চক্রটিকে আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান চলবে। আমাদের মূল টার্গেট, এখন কারা কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় এবং কোন কোন বিশেষ ফার্মেসিকে এসব ওষুধ বিক্রির জন্য ব্যবহার করে আসছে। খুব দ্রুতই আমরা আরও বেশ কিছু চক্রকে ধরতে পারবো বলে মনে করছি। এসব নকল ওষুধ মানুষের কাজে আসে না, বরং মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অভিযানে প্রিন্টার মেশিন রঙের কৌটা, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ও ব্যাচ নং লেখাসহ বিভিন্ন বিষয়ের সিল জব্দ করা হয়। পাশাপাশি জব্দ করা হয় একটি বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানির ৩০০ পিস নকল ইনসুলিন, ৮৪ হাজার পিস নকল সেক্স পাওয়ার ক্যাপসুল, ১০ মিলিগ্রামের ৬৫ পিস অ্যাক্ট্রাপিডসহ বিভিন্ন প্রকার ওষুধ সামগ্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
ডিএসএস/এইচএ/