রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় জনতা বাজার সংলগ্ন একটি বাগান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ থাকায় রোববার অনুষ্ঠিত বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয়নি তার।
উদ্ধারকৃত বাদশা ওই এলাকার সামছু ড্রাইভারের বাড়ির রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় কেরামতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি আসে নূর মাওলা বাদশা। সন্ধ্যায় জনতা বাজারের উদ্দেশে বের হয়ে রাতে আর ফিরে আসেনি।
রোববার সকাল পর্যন্ত সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করে তার কোনো সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে দুপুরে জনতা বাজার সংলগ্ন একটি বাগানের ভেতরে হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় বাদশাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন।
হাসপাতালে ভর্তির পর বাদশার জ্ঞান ফিরেছে। বাদশার বরাত দিয়ে তার চাচা নূর নবী বলেন, বাদশা তাদের জানিয়েছে, সন্ধ্যায় বাজার থেকে সে বাড়ি ফিরছিল এসময় বাজারের দক্ষিণ পাশে পৌঁছালে শক্ত কিছু দিয়ে প্রথমে তার মাথার পেছনে আঘাত ও পরে নেশা জাতীয় দ্রব্য তার মুখে লাগিয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সে আর কিছু বলতে পারছে না।
বাদশার অভিযোগ, অনেক আগে থেকেই সহপাঠী শহিদ ও একই এলাকার আমিনুল হক আফসারের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। ওই দুইজন তাকে পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে হুমকি দিয়েছিল। তার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানায় সে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগের আধা ঘণ্টার মধ্যে নূর মাওলা বাদশাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
আরএ