ধর্ম প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, কিছুদিন ধরে বিভিন্ন লোক বিভিন্নভাবে বিশ্ব ইজতেমাকে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছে। কোনভাবেই এটাকে ভাগ করতে দেওয়া যাবে না।
‘এবার দূরত্বটা অনেক বেশি, আরো শক্ত হয়েছে। শক্ত কারণগুলোর জট খুলতে আমাদের একটু শক্ত হতে হয়েছে। দু’পক্ষকে এক জায়গায় বসাতে সক্ষম হয়েছি, যাতে এক জায়গায় করতে পারি। এজন্য নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। ’
তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে নির্বাচনে জয়ী হলো সরকার, প্রথম কাজটাই যদি হয় তাবলিগ জামাতের ইজতেমা হচ্ছে না, নিন্দুকের তো আর অভাব নাই। বলবে যে তাবলিগটাই ভেঙে দিয়েছে। এর সঙ্গে সরকারের ইমেজ জড়িত। তাবলিগ জামাত হতে হবে, একসঙ্গে হতে হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর ইমেজের সঙ্গে জড়িত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে সবাই একমত যে ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি একত্রে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা হবে। তবে কিছু কিছু কথা আছে সে কারণে আবারও একসঙ্গে বসতে হবে। বয়ান কে করবে- তা নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত হবে।
মাওলানা সা’দ এর বাংলাদেশে আসা বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা একসঙ্গে হোক- এটা বড়রা চাইলেও ছোটরা চাচ্ছে না। থার্ড, ফোর্থ গ্রুপ ভাগাভাগির পক্ষে বেশি। মুরব্বিরা কিন্তু এতো না।
‘১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি তাবলিগ জামাতের ইজতেমা হবে। কোনভাবে দুইবার হবে না। একবারেই হবে। কিছু শর্ত নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে আমরা সেগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। সবাই মিলে আলোচনা করলে সমাধান হবে। তবে সেই শর্ত নিয়ে বিস্তারিত বলেননি। ’
ইজতেমা সাজানোর কাজটি প্রত্যেকবার তাবলিগ জামাতের লোকেরা করলেও এবার সিটি করপোরেশন করবে বলে জানান শেখ আব্দুল্লাহ।
যদি কোনো পক্ষ বয়কট পরে- এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বয়কট করতে দেব না বলেই তো উঠে পড়ে লেগেছি। আমরা সেটি আশা করি না।
‘তারা কিছু বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন, যে একসঙ্গে করলে এই হবে, ওই হবে। সব মিলিয়ে আমরা বুঝিয়েছি যে একসঙ্গে হবে। সেটা তারা মেনে নিয়েছে। সেই তারিখ তারাই দিয়েছে।
দিল্লির মাওলানা সা’দ এর ইজতেমায় আসা নিয়ে দ্বন্দ্বের মধ্যে এবার কয়েক দফা দুই পক্ষকে নিয়ে ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
বৈঠক শেষে মাওলানা সা’ দ পন্থীদের পক্ষে মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, কোনো কোনো জায়গায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় তাবলিগ জামাতে যাওয়ার জন্য টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব সমস্যা সমাধান করতে বলা হয়েছে। মাওলানা জোবায়ের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে যে মাওলানা সা’দ আসবে না, এই চিঠি প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সমস্যা সমাধান করতে বলা হয়েছে। উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়াতে আমাদের কর্মীদের মন বিগড়ে গেছে। এ পরিবেশ ঠিক না করলে আমরা কীভাবে আসবো?
‘আমরা বলেছি আলাদা ইজতেমা করার জন্য। এ জন্য অনুরোধ করেছি। আরেকটা বৈঠকে বসা হবে। কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দোদ্যুল্যমান আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এসএইচ