এ ঘটনায় অপহৃতের স্ত্রী, শ্যালিকা ও মাদক নিরাময় কেন্দ্রের দু’জন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস এবং দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহিন কাদির কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহযোগীতায় সদরের নোয়াপাড়া এলাকার মাদক নিরাময় কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্ধার করেন।
জাহাঙ্গীর আলম কুমিল্লার বুড়িচংয়ের ফরিজপুর গ্রামের আসাদুল ভুঁইয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত জাহাঙ্গীর আলমকে বাসা থেকে জোরপূর্বক অ্যাম্বুলেন্সে করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বুড়িচং থানায় অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীরের মেয়ে সাদিয়া আক্তার। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) অপহৃত জাহাঙ্গীর আলমের শ্যালিকা বিলকিসকে আটক করে।
এরপর তার জবানবন্দি অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী নার্গিস আক্তারকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের তথ্য মতে রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অপহৃত জাহাঙ্গীর আলমকে কুমিল্লা সদরের ‘নিউ যত্ন’ মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করা হয়।
থানায় সাদিয়া আক্তারের অভিযোগ বলা হয়, শুক্রবার মধ্যরাতে ৬-৭ জনের একটি দল অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসে জাহাঙ্গীরকে বসতবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। সে সময় জাহাঙ্গীর তার নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন।
অভিযোগকারী সাদিয়ার বলেন, আব্বুর সাথে আম্মুর প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া লেগেই থাকতো। ওইদিন মধ্যরাতে একটি অ্যাম্বুলেন্স করে বেশ কয়েকজন লোক আমাদের বাসার সামনে আসেন। আম্মু ঘরের দরজা খুলে দিলে তারা কক্ষে গিয়ে আব্বুকে মুখে কাপড় বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। আমরা চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে তারা আব্বুকে নিয়ে চলে যায়। আম্মুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পালিয়ে যান। আজ আব্বুকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।
বুড়িচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আটক চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
জেআইএম