সেনাপ্রধান রোববার সৌদি আরবের যৌথ বাহিনীর প্রধান ফায়াদ আল রুয়ায়লির সাথে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি দু’দেশের বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সৌদি-ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মাইন অপসারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়নে প্রায় ১৮০০ সেনা সদস্য মাইন অপসারণ কাজে নিয়োজিত হবে। যা সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
আজিজ আহমেদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যদের সৌদি আরবের বিভিন্ন সামরিক, বেসামরিক অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান। এছাড়া সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সৌদি আরবের বিভিন্ন সামরিক খাতে নিয়োজিত করার প্রস্তাব দেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন চিকিৎসকগণ কাজের পাশাপাশি সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণও গ্রহণ করতে পারবেন।
সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ জানান, সৌদি আরবের ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেরোরিজম কোয়ালিশনে (আইএমসিটিসি) বাংলাদেশ থেকে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ চারজন কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য নাম দেওয়া হয়েছে। এই কোয়ালিশনের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
সেনাপ্রধান সৌদি আরবের সামরিক কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের কথা তুলে ধরে বলেন, সৌদি আরবের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা বাংলাদেশে মিলিটারি একাডেমি, ডিফেন্স কলেজ ও ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড ও স্টাফ কলেজে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।
জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে প্রতিরক্ষা খাতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
সেনাপ্রধান রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শন করেন। এ সময় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদকে স্বাগত জানান। মিশন উপপ্রধান ড. নজরুল ইসলাম, ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরীসহ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সেনা প্রধানের সফরসঙ্গী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
টিআর/জেআইএম