এর আগে শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা এলাকার ৮০২ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারের কাছে ভারতীয় ২শ’ গজ অভ্যন্তরে ওই রাখালকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দিনভর নানা নাটকীয়তার পর একই দিন বিকেলে ক্যাম্প কমান্ডার পর্যয়ে পতাকা বৈঠকে হত্যার কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ।
নিহত আসাদুল ইসলাম পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে গরু নিয়ে ফিরছিলেন আসাদুলসহ কয়েকজন। পথে বিএসএফ ১৪৩ ব্যাটালিয়নের নিউ কুচলিবাড়ি ক্যাম্পের টহল সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিলে চোরাকারবারীরাও পাল্টা হামলার চেষ্টা করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে মারা যায় আসাদুল। ওই দিন বিকেলে পতাকা বৈঠকে হত্যার দায় স্বীকার করে বিজিবি'র কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ।
পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবি'র উপস্থিতিতে ওই সীমান্তে পাটগ্রাম থানা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ।
এ সময় ভারতীয় কুচলিবাড়ি থানার ওসি সুবাশ চন্দ্র রায় মরদেহটি পাটগ্রাম থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে পাটগ্রাম থানা পুলিশ মরদেহটি নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯
আরএ