আগেই জানা ছিল, চীনের কিছু কুচক্রী মহল প্লাস্টিকের চাল ও নকল ডিম তৈরি করে, যার বাজার সৃষ্টি হচ্ছে বাংলাদেশেও। তাই সেই চাল নিয়ে হাজির হন পুলিশের কাছে।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজারের রুবান দেওয়ানের দোকান থেকে দেড় বস্তা চাল জব্দ করে পুলিশ। এগুলো প্লাস্টিকের চাল কি না তা পরীক্ষার জন্য জব্দ করা চালের ১৫ কেজি ঢাকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধা শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার রনি মিয়া রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের নতুন বাজারের রুবান দেওয়ানের দোকান থেকে ছয় কেজি চাল কেনেন। এ চাল বাড়িতে নিয়ে ভাত রান্নার পর খেতে গিয়ে লক্ষ্য করেন, অন্যরকম স্বাদ। এটা আসলে ভাতের চাল কি না তা নিয়ে তার সন্দেহ হয়। পরদিন সকালে তিনি পরীক্ষার জন্য ওই চাল ভাজতে গেলে কড়াইয়ে দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে চাল পুড়ে গলে যায়। দেখা যায়, আগুনের তাপে সব চাল গলে জমাট বেঁধে গেছে। পরে রনি ওই চাল নিয়ে সদর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে চাল জব্দ করে।
এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বাংলানিউজকে বলেন, রনি মিয়া নামে এক ব্যক্তি প্লাস্টিকের মতো চাল নিয়ে থানায় আসেন। চালগুলো দেখে সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার রায়কে জানাই। তাৎক্ষণিকভাবে ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে দেড় বস্তা প্লাস্টিকের মতো চাল উদ্ধার করি।
ইউএনও উত্তম কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় এসব চাল প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে। এরপরও এর মধ্যে ১৫ কেজি চাল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯
এসআই