সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে মুজিবুল হক চুন্নু এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কে কে জড়িত? এর মধ্যে কি বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ জড়িত নয়? এ বিষয়টা দেশের মানুষ কেউ জানে না।
চুন্নু বলেন, রিজার্ভ চুরি হলো, সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত হলো—কমিশন হলো। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ দায়ী আছে কি না সেটা জানা গেলো না।
জাতীয় পার্টির এ সংসদ সদস্য আরো বলেন, তিন বছর হয়ে গেলো বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে। ১০ কোটি ডলার চুরি হয়েছে। পরবর্তীতে দুই ধাপে সেখানে কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছে।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, একটু আগে একজন সংসদ সদস্য বললেন তিন হাজার কোটি টাকা হলে আমাদের শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা যায়। সেখানে আমরা এখানে ১ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করতে পারিনি।
তিনি বলেন, তিন বছর পর এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন আইনজীবী বলছেন তিনি নিউইর্য়কে মামলা করেছেন। ঘটনাস্থল বাংলাদেশ আর ফিলিপাইনে মামলা হয়েছে। ফিলিপাইনের যে ব্যাংক কিছু টাকা উদ্ধার করেছে তারা বলছে এই মামলাটা পলিটিক্যাল।
আমার কথা হলো তিন বছরে মামলা হলো, আইনজীবী তিনি বললেন মামলা করবো কি না তা আমরা দুই বছর চিন্তা করেছি। দুই বছর চিন্তা করে তারপর মামলা করা হয়েছে। আমরা জানি না মামলা সেখানে টিকবে কি না, যোগ করেন মুজিবুল হক চুন্নু।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
এসকে/এমইউএম/এমজেএফ