সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব আর্ডারে দাঁড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। এরপর নাসিমের বক্তব্য সমর্থন করে জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইনুও একই আহ্বান জানান।
মোহাম্মদ নাসিম তার বক্তব্যে বলেন, বিশাল বিজয় নিয়ে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসেছে। এখন সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সময় এসেছে। নির্বাচনের আগে লাখ লাখ শিক্ষক এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করেছেন। তখন প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এমপিওভুক্তির জন্য দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক মাস আগে তালিকা পাঠানো হয়েছে। এমপিওভুক্তির জন্য তিন হাজার কোটি টাকার মতো লাগে। নতুন অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো চলতি অর্থবছরেই এই অর্থ বরাদ্দ দিতে। এ অর্থবছরেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে ওয়াদা ভঙ্গ করা হবে।
নাসিম আরো বলেন, শিক্ষকরা নির্বাচনে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। এটা ভুলে গেলে চলবে না। আমরা নতুন যোগ্য শিক্ষামন্ত্রী পেয়েছি। অভুক্ত শিক্ষকদের দেওয়া ওয়াদা পূরণ করুন। এই সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের সকল এমপি এ দাবির পক্ষে। অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি না করে দ্রুত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করুন।
মোহাম্মদ নাসিমের বক্তব্যের পর হাসানুল হক ইনু বলেন, আমি এই বক্তব্যকে সমর্থন করি। শিক্ষাখাতে গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অভূতপূর্ব বিস্তার ঘটেছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। লক্ষাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়েছে। কোটি কোটি টাকা এই খাতে বিনিয়োগ হয়েছে। কিন্তু এমপিওভুক্তির দাবি উপেক্ষিত রয়েছে। গত ১০ বছরে আমরা সংসদে একথা বহুবার বলেছি। কিন্তু অর্থমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দ করেননি। এখন শিক্ষকদের জীবনমান ও দক্ষতা বৃদ্ধির সময় এসেছে। শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, জীবন মান উন্নয়ন জরুরি ও জাতীয় কর্তব্য।
এর পর সংসদে রাষ্ট্রপতির দেওয়া ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী সচিব সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, এমপিওভুক্ত যেসব শিক্ষক অবসর গ্রহণ করেন অবসরের পর তাদের অবসর ভাতার টাকা পেতে দেরি হয়। যখন তারা পান তখন কাজে লাগে না। তারা অবসরে যাওয়ার সাথে সাথে যাতে টাকাটা পান সে ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া যে সব নতুন স্কুল হয়েছে সেগুলোকে সরকারি করার দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
এসকে/এমইউএম/এমজেএফ