মঙ্গলবারের (৫ ফেব্রুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে মাগরিবের বিরতি শেষে অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছু সময় পর ডেপুটি স্পিকার সভাপতির আসনে বসেন। একাদশ জাতীয় সংসদে পুনরায় ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর মঙ্গলবারই প্রথম তিনি সভাপতিত্ব করেন।
ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে জাতীয় সংসদ সব কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য সংসদে এসে কথা বলার কোনো বিকল্প নেই। এটিই গণতান্ত্রিক রীতি।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে জাতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আর জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা। আসুন আমরা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংসদে আলোচনা করি, ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করি।
ডেপুটি স্পিকার ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে উদ্বৃত্ত করে বলেন, ‘আমাদের ন্যাশনাল আসেম্বলি বসবে আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈরি করবো। এবং দেশকে আমরা গড়ে তুলবো। এদেশের মানুষের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সংস্কৃতি মুক্তি পাবে। ’
তিনি বলেন, আমি আশা করি বঙ্গবন্ধুর এই প্রত্যয়কে বাস্তবায়ন করতে একাদশ জাতীয় সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর এই অভিযাত্রায় আমি আপনাদের সবার সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে চাই।
সংসদে নিজের দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম সংসদের মর্যাদা রক্ষা করেন। একাজে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে সরকারি ও বিরোধী দলের সঙ্গে সংসদীয় বিধি অনুযায়ী আচরণ করতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এসকে/এমইউএম