একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষক মো. ইউনুছ হালাদারের অনুপস্থিতিতে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা দেন।
দণ্ডিত ওঝা ইউনুছ হাওলাদার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বারভড়িয়া গ্রামের মৃত আবদুল লতিফ চৌকিদারের ছেলে।
আদালত ও মামলা সূত্র জানায়, দণ্ডিত ইউনুছ হাওলাদার নিজ এলাকায় ওঝালি করতো। ২০১০ সালের ২ মে ইউনুস এক কিশোরীকে রোগ সাড়ানোর কথা বলে নিজ বাড়িতে ডাকে। তার কথামত রোগের চিকিৎসা নিতে একই বছরের ৩০ জুন রাতে কিশোরী ওই ভণ্ড ওঝার বাড়িতে যায়।
তখন কিশোরীকে চিকিৎসার নামে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ধর্ষণ করে সে। পরে কিশোরী বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর ইউনুছকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করে।
একই বছরের ১৪ নভেম্বর ইউনুছকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন বাকেরগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই হুমায়ুন কবীর।
মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহন শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
এমএস/আরএ