বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার দিকে অশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম একসরা দাখিল মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের খোকন গাজীর ছেলে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের বশির সানার ছেলে আব্দুল আজিজ (৪০), একই গ্রামের সালামুদ্দিন খোকন কারিকরের ছেলে আল আমিন কারিকর (২৫), আব্দুল্লাহ কারিকরের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০) ও শরিফুল ইসলাম (২৫)।
আনুলিয়া ইউনিয়নের দফাদার আব্দুস সাত্তার জানান, জাহাঙ্গীর বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে রবিউল, আল আমিন ও আব্দুল আজিজ একসরা লঞ্চঘাটে যাওয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীরের মোটরসাইকেল ভাড়া করেন। তারা রাজাপুর গ্রাম থেকে রওনা দিয়ে মধ্যম একসরা দাখিল মাদ্রাসার কাছে গিয়ে জাহাঙ্গীরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নিহতের স্ত্রী সাথী খাতুন তাকে (দফাদার আব্দুস সাত্তারকে) এসে জানান যে, তার স্বামী বুধবার রাতে বের হয়ে আর ফেরেননি। এসময় মোটরসাইকেল ভাড়া নেওয়া রবিউলকে ডেকে এনে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনকে খবর দেন। পরে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার একপর্যায়ে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেন রবিউল। এসময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আল আমিনকে আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে রাত ১২টার দিকে পুলিশ এসে মধ্যম একসরা দাখিল মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পুলিশ রাতেই রবিউল ও আল আমিনসহ চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯
এসআই