শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝালকাঠি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া গ্রামের ফুপুর বাড়ি থেকে সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়।
সোহাগের স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, সোহাগ ছাড়াও কলেজছাত্রী মুক্তার সঙ্গে আরও কয়েকজন যুবকের সঙ্গে একই সময় প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এদিকে বিষয়টি বুঝতে পেরে সোহাগ ওই মুক্তাকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন। কিন্তু মুক্তা সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রেমিকা মুক্তাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে পালিয়ে যান সোহাগ।
গত সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বারইকরণ গ্রামের বাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে মুক্তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী মুক্তা প্রেমের সম্পর্ক প্রত্যাখান করায় সোহাগ তাকে হত্যা করেছেন বলেও মুক্তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় মুক্তার বাবা নলছিটি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা, নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন ও (ওসি-তদন্ত) আবদুল হালিম তালুকদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/