শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমুর্ষূ অবস্থায় শিমনকে তার মা কলি ও বড় ভাই ইমন উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক বিকেল ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত শিমন ফরিদপুর বোয়ালমারী উপজেলা বাদিতীর গ্রামের গাড়িচালক লিটন মিয়ার ছেলে এবং চার সন্তানের মধ্যে সে তৃতীয়। বর্তমানে মুগদা মান্ডা শাহা-আলমের গলিতে একটি বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো।
নিহত শিশুটির মা কলি বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে শিমন বাসা থেকে কিছু দূরে মেইন রাস্তায় গেলে একটি রিকশা তাকে ধাক্কা দেয়। খবর পেয়ে তিনিসহ তার বড়ছেলে দ্রুত শিমনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থা অবনিত হলে ঢামেকে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা সঙ্গে সঙ্গে তার বড় ভাই ইমন কোনোভাবেই মানতে পারছে না তার ছোট ভাই মারা গেছে। মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ম অনুযায়ী মরদেহ মর্গে রাখতে হয়। হাসপাতালে তার মাকে নিয়ে এদিক-সেদিক ছুটছেন। তবুও সে মর্গে তার ছোট ভাইয়ের মরদেহ রাখতে চাচ্ছে না।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ বক্সের (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
এজেডএস/এএটি