ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গণমাধ্যম যথেষ্ট স্বাধীনভাবে কাজ করছে: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯
গণমাধ্যম যথেষ্ট স্বাধীনভাবে কাজ করছে: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: সম্প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সাংবাদিকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে নবগঠিত ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের প্রথম সম্প্রচার সম্মেলন ও কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান।  

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজওয়ানুল হক, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজাসহ অন্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার তার বক্তৃতায় আরও বলেন, কল্যাণমূলক ও ঝুঁকি মোকাবিলা, পেশাগত ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ানো, গবেষণা ও নীতি সহায়তা লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র যেন কার্যকরভাবে এগিয়ে যেতে পারে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ডাউনলিংক করা বিদেশি টিভি চ্যানেলে বিনা অনুমতিতে বিদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার আইনত অপরাধ। এটি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।

নতুন সরকার গঠনের পরপরই মন্ত্রিপরিষদের প্রথম সভায় নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রথম বৈঠকে নতুন করে কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী সেটির অনুমোদন দিয়েছেন। নবম ওয়েজ বোর্ডের ভেতরে সম্প্রচার সাংবাদিকদের বেতনের ক্ষেত্রে আলাদা নীতিমালা করার কথা বলা আছে।

টেলিভিশনগুলোতে যেন সঠিক সময়ে বেতন হয়, সে বিষয়ে মালিকদের নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়েছে। ১৯৯৬ সালে যখন তিনি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন তখন প্রথম প্রাইভেট চ্যানেল যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৪৪টির মধ্যে ৩০টিরও বেশি বেসরকারি টিভি সম্প্রচারে আছে। এটি পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বেশি।

গত দশ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ গণমাধ্যম যথেষ্ট স্বাধীনভাবে কাজ করছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষায় একাধিক নীতিমালা করা হয়েছে।

পরে ‘সম্প্রচার শিল্প: সম্ভাবনা ও সংকট’ প্রতিপাদ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় এতে অংশ নেন সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মোজাম্মেল বাবু, রুবানা হক, শাকিল আহমেদসহ অন্যরা।

গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত সক্ষমতা বাড়ানোসহ কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করতে যাত্রা শুরু করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার। বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত কর্মীদের কাজের নিরাপত্তা, ঝুঁকি মোকাবিলাসহ গবেষণা ও নীতি সহায়তায় কাজ করবে এই কেন্দ্রটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।