শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিল্লিতে দু’দেশের পঞ্চম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ পরামর্শক কমিশন- জেসিসি বৈঠকে এ সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
শুক্রবার দিল্লির জওহরলাল নেহেরু ভবনে জেসিসি বৈঠকে যোগ দেন বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আর ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন অভিন্ন নদীসহ তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার দ্রুত সমাধানের অনুরোধ করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সুষমা স্বরাজ তিস্তা চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশকে আশ্বাস দেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চার দফায় রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৈঠকে সুষমা স্বরাজ জানান, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে রাখাইনে পাঠাতে বাংলাদেশকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে ভারত। এছাড়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি-বিদ্যুৎ, নদীর পানিবণ্টন, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, সাংস্কৃতিক মানুষে মানুষে যোগাযোগ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর যৌথ উদযাপনের বিষয়েও কথা হয়েছে।
জেসিসি বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিল্লির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দিল্লি সফরকালে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হওয়ার পর ড. এ কে আব্দুল মোমেনের এটাই প্রথম বিদেশ সফর। দিল্লি থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ফিরবেন।
***বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৪ সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
টিআর/এএ